ভূমিকম্প মোকাবেলায় ১৩৮১ কোটি টাকা অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ভূমিকম্প মোকাবেলায় সরকারি সংস্থার দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ হাজার ৩৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘আরবান রেজিলিয়েন্স’ প্রকল্পসহ ২ হাজার ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নিয়মিত বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘একনেক বৈঠকে ২ হাজার ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) ৬৫২ কোটি ৮৩ লাখ, প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ৩৩২ কোটি ১০ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। এর মধ্যে সিলেট ও ঢাকা মহানগর বেশি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। এ কারণে নগরী দুটির ভুমিকম্প মোকাবেলায় প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে শহর এলাকার ভূমিকম্পের মতো ভয়ঙ্কর দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সরকারি সংস্থাগুলো সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে সরকার।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট (ডিএমডিপি) ও সিলেট মহানগরীর ভূমিকম্প মোকাবেলায় ‘আরবান রেজিলিয়েন্স (ডিডিএম অংশ, রাজউক অংশ এবং পিসিএমইউ অংশ)’ নামে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে ১ হাজার ৩৩২ কোটি ১০ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) ৪৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগ, রাজউক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং পরিকল্পনা কমিশন।’
একনেকে অন্য অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো:
৪৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটগুলোর পুনর্বাসন ওমান উন্নয়ন’ প্রকল্প। ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটগুলোর পুনর্বাসন ওমান উন্নয়ন’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সড়ক রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য কোল্ড রি-সাইক্লিং প্ল্যান্ট ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
৭৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সিলেট অঞ্চলের শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ’প্রকল্পেরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ‘কক্সবাজার জেলাধীন ক্ষতিগ্রস্থ পোল্ডারগুলোর পুনর্বাসন’ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৫৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে এবং ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলায় সাঙ্গু ও চাঁদখালী নদীর উভয় তীর সংরক্ষণ’ নামে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/ফাহিম